জীবনে কখনও অপরাজনীতি, অপসাংবাদিতার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। ৯০ এর গণআন্দোলনে ছাত্রলীগের একনিষ্ট কর্মী ছিলাম। পরবর্তীতে গামের্ন্টস আন্দোলন,তেল গ্যাল খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ, বন্দর রক্ষা আন্দোলনে জড়িত ছিলাম। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার -রামু আসন থেকে গণফোরামের সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলাম। ২০০৯ সন থেকে সক্রিয়ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে মেধা, পরিশ্রম অর্থ সবই ব্যয় করেছি। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেছি। মসজিদ- মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি।
২০১২ সন থেকে দৈনিক বাঁকখালী নামের একটি অখ্যাত জামায়াত শিবিরের হাতে বন্দী পত্রিকাকে জামায়াতিদের কাছ থেকে মুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত করে বর্তমানে প্রথম শ্রেণির পত্রিকায় পরিনত করি। দৈনিক বাঁকখালী পরিচালনাকালিন সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়া, বর্তমান সরকারের নানাধিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছি। দৈনিক বাঁকখালী এখন কক্সবাজারের একটি শীর্ষ পত্রিকা। জেলার প্রথম ই-পত্রিকা আমরাই চালু করি। ইতিমধ্যে দেশ বিদেশে আমাদের অগনিত পাঠক সৃষ্টি হয়েছে।
আজ ১০ মার্চ ২০১৬ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের রামুতে শুভাগমন করেন। তার আগমন উপলক্ষে রামু সেনানিবাসের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রন কার্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘অনুষ্ঠানের ১দিন আগে হঠাৎ আমন্ত্রন কার্ডটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।’ শুনেছি বিএনপি জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারি কিছু কুচক্রী আমিসহ অনেক সাংবাদিকের নিমন্ত্রন কার্ড প্রত্যাহারে মুল ভুমিকা রেখেছে। আমি তাদের অনুরোধ করব দয়া করে অযথা আমাকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমার রাজনৈতিক জীবন, সংবাদপত্র জগতে আমার পদচারনা এবং ব্যক্তিগত জীবন সবই উন্মুক্ত। আমি পর্দার অন্তরালে কোন কাজ করি না। কারো প্রতি কোন বৈরীভাবও পোষন করিনা। আমাকে অযথা ঈর্ষা করারও কিছু নেই। যা কিছু অর্জন করেছি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই অর্জন করেছি। তথ্য প্রযুক্তির বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। বর্তমান সরকার যা শুরু করেছে তা তরুন প্রজন্ম এগিয়ে নিয়ে যাবেই। এখন ঈর্ষাকাতর হবার সময় নয়। সময় হলো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাবার। রাজনীতির সঙ্গে যারা সাংবাদিকতাকে গুলিয়ে ফেলেন তারা রাজনীতি এবং সাংবাদিকতা দুটো পেশাকেই কলংকিত করেন। তাদের জন্য করুনা ছাড়া আর কিছু করার নেই। এই মুহুর্তে প্রয়োজন সৎ সাংবাদিকদের ঐক্য।
-Syful Islam Chowdhury ফেসবুক থেকে নেয়া।
পাঠকের মতামত: